
ত্রিবেনী কুম্ভমেলার চতুর্থ বর্ষের সূচনায় নগরকীর্তন,শক্তিপিঠ পরিক্রমা,রুদ্র অভিষেক,রুদ্র মহাযজ্ঞ,শিব সহস্র নাম,সাধু প্রবচন,ধর্মসভা। এছাড়া
সপ্তর্ষি ঘাটে সন্ধায় হবে গঙ্গা আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নাগা সাধুদের আখড়াও হয়েছে ত্রিবেনীতে।
প্রায় সাতশ বছর আগে হুগলির ত্রিবেনীতে গঙ্গা যমুনা সরস্বতীর সঙ্গমে কুম্ভ বসত বলে জনশ্রুতি।গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তি শেষে ফেরার পথে সাধু সন্ন্যাসীরা পায়ে হেঁটে ত্রিবেনী সঙ্গমে মিলিত হতেন মাঘি পূর্নিমায়।
সেখানে একদিনের কুম্ভ হত, যাকে অনুকুম্ভ বলা হয়।
সেই কুম্ভ আবার শুরু হয়েছে চার বছর আগে।
ত্রিবেনীতে এই তিন দিন বহু মানুষের সমাগম হয়।
গঙ্গার ঘাটে বুধবার মাঘী পুর্নিমাতে হবে পূন্যস্নান।তার আগে নাগা সাধুদের নগর পরিক্রমা হবে।
যাকে ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে।
প্রয়াগে দূর্ঘটনা দেখে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য প্রশাসন।

কুম্ভমেলার নাগা সাধুদের ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ধর্ম বাবা বলেন,সপ্তর্ষি ঘাট শিবপুর মাঠ আর আর ক্যাম্প এই তিনটি জায়গায় মেলার কাজ চলছে।ক্যাম্পে মূলত সনাতনি কার্যক্রম হবে।সন্ধ্যাবেলায় সপ্তর্ষি ঘাটে দশ হাজার প্রদীপ জ্বালানো হবে।সন্ধ্যা আরতি হবে।পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।একটা সময় এই সপ্তগ্রামে বাণিজ্য বন্দর ছিল।যেখানে বিদেশি জাহাজ আসতো বাণিজ্য হতো।ত্রিবেণী কুম্ভ কে কেন্দ্র করে সেই আর্থিক আদান-প্রদান বাড়বে।সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রসারের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন হবে আশা করি।
