
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিধানসভায় রাজ্যের ২০২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিধায়কের উপস্থিতিতে বাজেট পেশের সমাপ্তি ঘটান মুখ্যমন্ত্রীর একটি কবিতা পাঠ করে। এবারের বাজেট পরিকল্পনায় নারী, কৃষি ও পরিষেবা ক্ষেত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ন্যায্য পাওনার অভাবে আর্থিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য উন্নয়নের পথ অব্যাহত রাখার সংকল্প ঘোষণা করেছে।

১) নারী ও মহিলাদের জন্য বরাদ্দ: এবারের বাজেটের অর্ধেকের বেশি অংশ নারী ও মহিলাদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
২) বাংলার বাড়ি প্রকল্প: এই প্রকল্পে ২০২৫ বাজেটে ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৩) নদীবন্ধন প্রকল্প: বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘নদীবন্ধন’ নামে নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
৪) নদী ভাঙন প্রতিরোধ: নদী ভাঙন সমস্যার সমাধানে মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা হবে। বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, একটি পাইলট প্রকল্পও গ্রহণ করা হবে।
৫) আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য মোবাইল ফোন: এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
৬) কর্মশ্রী প্রকল্প: ৬১ কোটি শ্রম দিবস তৈরির লক্ষ্যে কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭) পথশ্রী প্রকল্প: রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য আগামী অর্থবর্ষে ১,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
৮) চা শিল্পে কৃষি আয়কর ছাড়: চা শিল্পের কৃষি আয়করের ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়েছে।
৯) নতুন MBBS আসন: রাজ্যে ২৪টি নতুন MBBS আসন স্থাপন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সহযোগিতায় অসন্তোষ: বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্যকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজ্যের বাজেটে কৃষি শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃতভাবে উন্নয়নের জায়গা দেওয়া হয়েছে।বাজেটে সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে রাজ্যের উদ্যোগ জারি থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।।