
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ধানবাদে সড়ক দুর্ঘটনায় রাজ্যের ৬ জনের মৃত্যু। কুম্ভ যাওয়ার সময় ঘটে এই দুর্ঘটনা।
ধানবাদ জেলা সদর থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার অদূরে রাজগঞ্জ থানার অধীনে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ৬ জন কুম্ভ যাত্রী নিহত হয়েছেন এবং আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।।

নিহতদের মধ্যে চালকসহ দুই পুরুষ ও দুই নারী সহ দুজন বাচ্চা ছেলে রয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে চিকিৎসার জন্য শহীদ নির্মল মাহতো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (এসএনএমএমসিএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে চালক শেখ রাজাবালী (চালক),
পিয়ালী সাহা,তেমুলি সাহাও পনোবা সাহা।
সকলেই পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামের বাসিন্দা।
রাজগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক আলিশা কুমারী জানান, রাত ১টা ১৫ মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তিনি বলেন, যে বাংলার আটজন ভক্ত একটি স্করপিও এসইউভিতে কুম্ভ প্রয়াগরাজ যাচ্ছিলেন যখন তাদের গাড়িটি রাস্তার পাশে একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারে। চারজন যাত্রী তাৎক্ষণিকভাবে মারা যায়, পরে হাসপাতালে দুইজন বাচ্চা মারা যায় বাকি ২জন গুরুতর আহত হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে স্করপিওটি দ্রুত গতিতে চলার সময় পেছন থেকে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারে। তার পিছনে আরেকটি গাড়ি ধাক্কা মারলে স্করপিও টি অন্য লেনে চলে যায় সেখানে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ নিহত ও আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে ভক্তরাও টাটা নেক্সনে ভ্রমণ করছিলেন, কিন্তু তারা বড় ধরনের আঘাত পাননি।
এই সপ্তাহে ধানবাদে এমন দ্বিতীয় ঘটনা
এটি ধানবাদ জেলায় বাংলার কুম্ভ ভক্তদের দ্বিতীয় সড়ক দুর্ঘটনা।
এর আগে, 18 ফেব্রুয়ারী, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার 18 জনেরও বেশি ভক্ত ধানবাদের নিরসা থানার অন্তর্গত NH-১৯ এ একটি স্থির ট্রাকের সাথে তাদের বাস সংঘর্ষে আহত হয়েছিল।
কুম্ভমেলায় পবিত্র স্নান সেরে ফিরছিলেন তাঁরা।।