
বাঙ্গলার জাগরন সংবাদদাতা

হাতে চকলেট দিয়ে কোনক্রমে ভোলানো হচ্ছে বাচ্চাকে, মহিলা কনস্টেবল নাগারে জানতে চাইছে তার পরিচয় কিন্তু তার কথার মধ্যে কোন কিছুই স্পষ্ট না থাকায় উদ্ধার করা যাচ্ছে না তার ঠিকানা। বুধবার রানীগঞ্জের টিডিবি কলেজ গেটের কাছেই লক্ষ্য করা যায় এমন ঘটনা।
দেখা যায় কলেজ গেটের সামনে একনাগাড়ে কাঁদছে এক বাচ্চা মেয়ে, এই বিষয় লক্ষ্য করে বাচ্চাকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে, সে বলতে না পারায়, এলাকার বাসিন্দারা খবর দেয় পুলিশে। আর এ খবর জানার পরই দ্রুত রানীগঞ্জ থানার পুলিশ পৌঁছে বাচ্চাকে নিয়ে আসে থানায়। থানার মহিলা কনস্টেবল বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে কোন রকম চকলেট দিয়ে তাকে ভুলিয়ে তার বাড়ির নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করতে চাইলেও বাবা ও দাদার নাম কোনক্রমে বলতে পারলেও বাড়ির ঠিকানা স্কুল পরিজন সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারে না সে। এসব নিয়ে মহা মুশকিলে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। আর এ সম্পর্কে আমাদের কাছে খবর আসাই দ্রুত রানীগঞ্জ থানায় গিয়ে ওই বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা বাদ করতেই সে আলতো আলতো ভাষায় হিন্দিতে নিজের পরিবার-পরিজন এদের প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাইলেও তার কথা কিছুই বোঝা যায় না। এ মুহূর্তে রানীগঞ্জ থানায় ওই বাচ্চা কে সযত্নে রেখেছে মহিলা কনস্টেবল, সকলেরই এখন একটা ইচ্ছে কি করে দ্রুত সে তার মা-বাবার কাছে ফিরে যায়। তাই সকলের কাছে অনুরোধ আপনারাও দ্রুত এই বাচ্চার পরিবার-পরিজনদের সম্পর্কে কিছু জেনে থাকলে, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমবর্ধমান জেলার, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানায় এসে যোগাযোগ করুন, আর বাচ্চাকে তো আর মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিন এমনই অনুরোধ করেছে পুলিশ প্রশাসন।