বিজেপি সংখ্যালঘু সেল এর মন্ডল সভাপতি ও তৃণমূলের জেলা সভাপতির প্রয়াত বাবার নাম নতুন ভোটার লিস্টে, রাজনৈতিক তরজা জেলা জুড়ে।

বাঙ্গলার জাগরন.COM সংবাদদাতা

কোনও ভুয়ো ভোটার ভোট দিতে এলে তাঁর হাত-পা আস্ত থাকবে না। শনিবারই এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক সেই নরেন্দ্রনাথেরই প্রয়াত পিতার নাম মিলল ভোটার তালিকায়। যা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি।

তৃণমূল অবশ্য গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ঘাড়েই চাপিয়েছে। এ বিষয়ে নরেন্দ্রনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল বাঙ্গলার জাগরন.COM। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
নরেন্দ্রনাথ পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের চক বানকোলা গ্রামের ৮৭ নম্বর বুথের ভোটার। সেই বুথের ভোটার তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১১৮ নম্বরে নরেন্দ্রনাথের নাম রয়েছে। আর তাঁর পিতা অরিন্দম চক্রবর্তীর নাম রয়েছে ১১৭ নম্বরে। ঘটনা হল, বছর দুয়েক আগে প্রয়াত হয়েছেন অরিন্দম। এ নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথকে বিঁধছে পদ্মশিবির। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন,‘‘উনি ভুয়ো ভোটারদের হাত-পা ভাঙবেন বলছেন। খুব ভাল কথা। কিন্তু ওঁর বাবা দু’বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর নাম এখনও ভোটার তালিকায় কী করছে?’’


রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার পাল্টা বলেন, ‘‘কোনও এলাকায় কেউ প্রয়াত হলে বা কেউ এলাকা ছেড়ে চলে গেলে কমিশনের দায়িত্ব ভোটার তালিকা থেকে সেই ব্যক্তির নাম সরানো। কমিশন নিজের কাজ ঠিক মতো করছে না। তাই জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে কারও বাড়িতে কেউ প্রয়াত হলে, পরিবারেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বিষয়টি সঠিক জায়গায় জানানো। তা হয়েছে কি না, সেটা আমি জানি না। তা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীই বলতে পারবেন।’’


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরের সভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরেই ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ সাংগঠনিক ভাবে শুরু করেছে তৃণমূল। ভুয়ো ভোটার ধরতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন জেলার নেতারা। সেই সংক্রান্ত একটি কর্মিসভায় শনিবার নরেন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘‘হরিয়ানা, পঞ্জাব থেকে যে ভাবে ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে দিল্লিতে আপকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলায় সেটা হবে না। যদি কেউ বলে পাণ্ডবেশ্বরে ফল্‌স ভোট দিয়ে যাবে, তার কি হাত-পা গোটা থাকবে? আমি বসে থাকব না কি? কেউ হরিয়ানা থেকে ফল্‌স ভোট দিতে এলে, সে কি আইসক্রিম খেতে খেতে বাড়ি যাবে?’’
নরেন্দ্রনাথের ওই মন্তব্য নিয়ে জেলায় বিতর্ক ছিলই। তৃণমূল বিধায়ককে পাল্টা আক্রমণ করেছিল বিজেপিও। এ বার ভোটার তালিকায় নরেন্দ্রনাথের প্রয়াত পিতার নাম থাকা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে তারা।।

Related Posts

अचानक रुकी भोजन सेवा से बेहाल असहाय लोग — आसानसोल रेल डिवीजन ने बिना कारण बताए बंद कराया कार्यक्रम

बंगलार जागरण डॉट कॉम संवाददाता शहर के 13 नंबर मोड़ स्थित पुराने रेलवे फायर ब्रिगेड दफ्तर में वर्षों से एक सामाजिक संस्था द्वारा प्रतिदिन दोपहर में सैकड़ों गरीब, बेसहारा और…

Read more

এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে জোরকদমে প্রচার—হাউজিং কমপ্লেক্স থেকে গ্রামাঞ্চলে ছুটে বেড়াচ্ছে প্রশাসন

বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা এনুমারেশন ফর্ম কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে—তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে এখন জেলা শাসক থেকে আসানসোল মহকুমা প্রশাসন সকলেই গণজাগরণে নেমেছে। শহরের বড় বড় হাউজিং কমপ্লেক্স,…

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *