
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকদের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে, নানান বার্তা দেওয়ার সাথে, শিক্ষাক্ষেত্রে প্যানেলে নাম থাকা শিক্ষককে, শিক্ষাক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে, বর্তমান সময়ে ভলেন্টিয়ার সার্ভিস দেওয়ার কথা জানান। তবে সে কথায় যে চিড়ে ভিজলো না, তা যেন শিক্ষকদের অনেকের বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্কুলে না যাওয়ার বিষয়টি, সামনে আশায় স্পষ্ট হলো।

এদিন রানীগঞ্জের সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়া স্কুল বাসন্তী দেবী বালিকা বিদ্যালয় পৌঁছে দেখা যায় প্যানেলে নাম থাকা ১২ জন শিক্ষকই এদিন কাজে যোগ দেননি, তবে কি কারণে এমনটা, সে বিষয়টা কিন্তু স্পষ্ট হয়নি। জানা গেছে তিনজন প্যারা টিচার রয়েছে বাসন্তী দেবী বালিকা বিদ্যালয় পূর্বে যা পাঁচজন ছিল, তাদের বর্তমানে একটা আন্দোলন চলছে, তারপরও দীর্ঘদিন ধরে যেহেতু এই স্কুলে তারা শ্রমদান করে আসছেন, সেই বিষয়কে মাথায় রেখে, বর্তমান সময়ে স্কুলে পরীক্ষা চলার জন্য তারা যাতে ছাত্রীদের ও সহকর্মী হিসেবে থাকা অন্য শিক্ষিকাদের, যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য শ্রমদান করতেও হাজির হয়েছেন বলেই জানান, তবে তারা ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও, নিজেরা দাবি করেন যে সংগঠন যদি তাদের কোনক্রমে ডাক দেয়, তবে তারা এই কাজকর্ম থেকে সংগঠনের নেতৃত্বের ডাকে যেতে প্রস্তুত রয়েছেন। বর্তমানে রানীগঞ্জের সবথেকে কঠিন অবস্থায় থাকা একমাত্র বালিকাদের হিন্দি মাধ্যমে স্কুল, বাসন্তী দেবী বালিকা বিদ্যালয় চলছে চরম দুরাবস্থায়। স্কুলে চলছে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা, দুই অর্ধে প্রতিটি ক্লাসেই ঠাসাঠাসি করে ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে এসেছে, তবে বর্তমানে সেই পরীক্ষাগুলি নেওয়ার জন্য কয়েকটি হাতে গোনা শিক্ষিকায় রয়েছেন স্কুলে। তাই কোন উপায় না দেখে ষাট, সত্তর, ৭৫ জনের ছাত্রীদের পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে নজরদারির জন্য একজন করে শিক্ষিকায় দায়িত্ব নিয়ে তাদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষিকা শ্রুতি গাঙ্গুলী জানিয়েছেন স্কুলের যে ১২ জন শিক্ষিকার প্যানেলে নাম বেরিয়েছিল, তারা গতকাল কলকাতার সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, বলে তিনি জানতে পারেন তবে তার পরবর্তীতে কি হয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে তিনি এখনো কিছু স্পষ্টভাবে জানেন না। তবে এদিন ওই ১২ জন শিক্ষিকার একজনও উপস্থিত হননি। কি কারণে হননি, কিবা রয়েছে এই না আসার পেছনের কারণ, সে বিষয় সম্পর্কে, এখনো কোনো ফোন মারফত কথোপকথন হয়নি, তাই পরীক্ষার ব্যস্ততাতেই স্বল্প কয়েকজন শিক্ষিকা দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে তাদের। এখন তারা অপেক্ষায় রয়েছেন কিভাবে তাদের এই সমস্যার সমাধান হয়।।
যদিও এদিন রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ হাইস্কুলে, যে দুই শিক্ষকের প্যানেলে নাম ছিল, তারা অবশ্য অন্যদিনের মতো এদিনও স্কুলে হাজির হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যেহেতু তাদের কাছে কোন নির্দেশিকা আসেনি, সেজন্যই স্কুল চললেই ক্লাসেও হাজির হচ্ছেন তারা। তবে আগামীতে তারা কি করবেন, তাদের বেতন কাঠামো সঠিক থাকবে কিনা, সেসব সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না, তাই ভবিষ্যৎ কি হবে, সে নিয়ে অনিশ্চিত সকলেই।