
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
কলকাতা, ১২ এপ্রিল ২০২৫ (বাংলার জাগরণ): কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চে শনিবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সাক্ষী হলো। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গে উত্তপ্ত শুনানি হয়। বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন স্পেশাল বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে ৩০ মিনিট সময় দিয়ে পরিস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

শুনানির শুরুতে বিচারপতি সেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধির কাছে জানতে চান, “আমরা যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিই, তাহলে রাজ্যের অবস্থান কী?” এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যে ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, এডিজি পদমর্যাদার একজন আধিকারিক পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন। তবে, এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী।
শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতের কাছে অভিযোগ করেন, আমতলা থানায় গতকাল কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য অশান্তি শুরু হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বিএসএফকে ডাকা হলেও জেলাশাসক তাদের কাজে বাধা দিচ্ছেন। এমনকি গ্রন্থাগার মন্ত্রী অশান্তি ছড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।” এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সেন কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর, তা জানতে চান এবং রাজ্য সরকারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালত জানিয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যে এই মামলার পুনরায় শুনানি হবে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রশ্নে হাইকোর্টের এই কড়া অবস্থান রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর এই মামলা রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।