
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
পানীয় জল পান করে ও ব্যবহার করে একের পর এক গ্রামের বাসিন্দারা হচ্ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত । গ্রামের হেনও কোন পরিবার নেই যে পরিবারে এক দুজন সদস্য আক্রান্ত হচ্ছে না ডায়রিয়ায়। অথচ গ্রামে এখনো পৌঁছয়নি কোন মেডিকেল টিম, বারংবার এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও আশেপাশের বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করালেও কোন স্বার্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না এলাকার মানুষজনদের খোঁজখবর। এমনই অভিযোগ উঠল এবার আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত এক নম্বর বরো দপ্তরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে।।

এলাকায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবারের বাস। অথচ ইকড়া শিল্প তালুকের ঠিক পাশেই অবস্থিত এই গ্রামে এখনো পৌঁছায়নি, কোন পানীয় জলের পরিষেবা। গ্রামের শেষ প্রান্তে ও মাঝ বরাবর অংশে রয়েছে একটি করে টিউবওয়েল সেই জল খাওয়ার জন্য আর সংলগ্ন অংশের একটি পরিত্যক্ত কয়লা খনির জমে থাকা জল ব্যবহার করে নিত্য দিনের স্নান করা, বাসন ধোয়ার কাজ করে থাকে তারা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি পূর্বের টিউবেল না থাকলে এই জল খেয়ে তারা দিন গুজরান করতেন। এছাড়াও সংলগ্ন অংশে যে সিঙ্গারন নদী রয়েছে সেই নদীর জলও এখন ব্যবহার অযোগ্য যদিও সেই জলের ব্যবহার করেও অনেকেই বসন ধোয়া, স্নান করার কাজ সারেন। ইদানিং সেই সকল অংশের জল ব্যবহার করে প্রতিটি ঘরের সদস্যরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চার জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর গ্রামে কুড়ি থেকে 22 জন ব্যক্তি যাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা রয়েছে তারা আক্রান্ত হচ্ছে এই ডায়রিয়ায়। চিকিৎসা করে অনেকে বাড়িও ফিরে এসেছে। আর কাউকে কাউকে বাড়িতেই স্যালাইন চালিয়ে চলছে চিকিৎসা। এ বিষয়ে অবশ্য স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ দাবি করেছেন বিষয়টি সম্পর্কে তার কিছুই জানা নেই, তবে এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে মেডিকেল টিম পাঠিয়ে খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত বিষয়। তবে জলের যে সমস্যা রয়েছে তা সে অংশে নেই বলেই দাবি করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ দিব্যেন্দু ভগত। এখন দেখার কত দ্রুত এই এলাকার মানুষজন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।