
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
আসানসোল: লৌহ ইস্পাত কারখানায় এক সুপারভাইজারের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা। ময়নাতদন্তের পর দেহ রেখে কার্যত বিক্ষোভে সামিল হয় কর্মী ও আত্মীয়রা। কার্যত কারখানার গেটে তালা দিয়ে চলছে এই বিক্ষোভ। আসানসোল রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের এক লৌহ ইস্পাত কারখানার ঘটনা।।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় কারখানা চত্বরেই আয়রন কেশরের সুপারভাইজারের কাজে কর্মরত ছিল বছর ২২ এর খাস কাজোড়া এলাকার বাসিন্দা, বিকাশ মুন্ডা ওরফে লাড্ডু, রবিবার ওই যুবক যখন কারখানার মধ্যে কাজ করছিলেন তখনই একটি কয়লা বোঝায় ট্রাক তাকে ধাক্কা মারলে ওই ব্যক্তি ঘটনা স্থলে চাপা পড়ে, এই ঘটনার বিষয় লক্ষ্য করেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কারখানার ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সাথে এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় বক্তা নগর গ্রাম রক্ষা কমিটির সদস্যদের, তারপরই তারা মৃত ওই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও বক্তা নগর গ্রাম রক্ষা কমিটি দাবি করেন ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে মৃতের পরিজনদের সঠিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা কারখানা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। আর এই সমস্ত ঘটনার বিষয়গুলি সোমবার দেহটির ময়নাতদন্তের পর সর্বসাকুল্যে করতে হবে বলেই দাবী করেন বক্তা নগর গ্রাম রক্ষা কমিটি। তারা দাবি করেন এই ঘটনা কি গাফিলতির কারণে ঘটেছে সে বিষয় গুলিকে স্পষ্ট করতে হবে, একই সাথে মৃতের যে পরিবারবর্গ রয়েছে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাদের দাবি শুধুমাত্র নজরদারির অভাবে বারংবার এই কারখানা চত্বরে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে, যেগুলি কারখানা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঘটছে বলে দাবি করেছেন তারা। গাফিলতির সেই সকল বিষয়গুলিকে স্পষ্ট করে আগামীতে যাতে কারখানায় এরূপ কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য এই কারখানায় এরূপভাবে দুর্ঘটনার ঘটনা এর আগেও ঘটতে দেখা গেছে, তারপরও কারখানা কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা এড়াতে কেন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনা? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সকলে। এখন দেখার বারংবার ঘটা এই দুর্ঘটনার বিষয় লক্ষ্য করে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন।