
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা

চৈতন্য মহাপ্রভুর পাদুকা দেখার জন্য ভীড় জমেছে রাস্তায় ও মন্দিরে। যা ঘিরে ভক্তদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। বার্নপুর টাউন পুজো কমিটির উদ্যোগেই এই আয়োজন। সেজন্য সেজে উঠেছে বারি ময়দান। গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ মঞ্চ। ভক্তদের বসার জন্য টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় আনা হচ্ছে হিন্দু ধর্মের অন্যতম চৈতন্যদেবের পাদুকা। উদ্যোক্তাদের দাবি, পশ্চিম বর্ধমানে প্রথমবার এই পাদুকা আসছে। যার সাক্ষী থাকতে মানুষের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস রয়েছে। বার্নপুর টাউন পুজো কমিটির পৃষ্ঠপোষক সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, আমাদের জেলার প্রথমবার প্রভুর পাদুকা এসেছে। যা দেখতে ভক্তদের প্রবল আগ্রহ রয়েছে। ভীড় ও হয়েছে চড়ম। সারাদিন ব্যাপী হচ্ছে কীর্তন। মহিলা ঢাকিদের সঙ্গে নাচ। আরতি প্রসাদ বিতরণ সবই হবে দুই দিন ব্যাপি। এছাড়া রাধাবিনোদ গোস্বামী র বক্তব্য হবে সন্ধ্যায়।
পুলিস পাহারায় চৈতন্যদেবের জোড়া চরনপাদুকা বার্নপুর স্টেশনের সামনে আসে। সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে ওই পাদুকা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। পুষ্পবৃষ্টি করার পাশাপাশি নবদ্বীপ থেকেই কীর্তনের দল এসেছে। তারা হরিনাম করতে করতে পাদুকা নিয়ে আসেন। তারপর মন্দিরে শুরু হয় বিশেষ পুজো। সন্ধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এসে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যাক্তারা। রাতে চরনপাদুকা মন্দিরেই থাকবে। পরের দিন রবিবার সারাদিন ব্যাপী চলবে ভজন কীর্তন। তারপর ফের নবদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেবে।
পুজো কমিটির সম্পাদক শিবশঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, আমাদের পুজো ৮২ বছরের পুরনো। বার্নপুরের মানুষ এই মন্দির চত্বরে ভিড় করেন। পাদুকা পুজো অনুষ্ঠান ঘরে শহরজুড়ে উৎসাহ রয়েছে।।