
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
পুরুলিয়া : অনাস্থা তারপরই অপসারণ করা হলো রঘুনাথপুর পৌরসভার তৃণমূলের পৌরপ্রধান তরনী বাউরিকে। রঘুনাথপুর মহকুমা শাসককে প্রশাসক হিসেবে বসানো হলো রঘুনাথপুর পৌরসভায়। তলবি সভা না ডেকে কিভাবে প্রশাসক বসানো হলো, প্রশ্ন বিজেপি কাউন্সিলারের।

উল্লেখ্য, গত পৌর নির্বাচনে ১৩ আসন বিশিষ্ট রঘুনাথপুর পৌরসভায় ১০ টি আসন পায় তৃণমূল, ২ টি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস এবং ১ টি আসন পায় বিজেপি । বোর্ড গঠনের পর থেকেই পৌরপ্রধানের সঙ্গে অন্যান্য কাউন্সিলারদের বিরোধ সামনে আসে । এরপর গত ২৪ এপ্রিল তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পৌরসভার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কংগ্রেসের ১ জন কাউন্সিলারকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের ৬ জন কাউন্সিলার। অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় রঘুনাথপুর মহকুমা শাসকের কাছে । অবশেষে ২৬ দিনের মাথায় অপসারণ করা হলো পৌরপ্রধানকে। আজকে পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক বিবেক পঙ্কজ ।
বিষয়টি নিয়ে রঘুনাথপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান তরনী বাউরি বলেন, কিছু কাউন্সিলার দুর্নীতিগ্রস্থ ছিলেন । তাদের দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ না করায় তারা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। আজকে সেই মর্মে প্রশাসক বসানো হলো ।
বিজেপি কাউন্সিলারের অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর কোনরকম তলবী সভা না ডেকেই বেআইনি ভাবে পৌর প্রশাসক বসানো হলো। বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হবো । আমরা চাই পৌরসভা আস্থা ভোট হোক ।
যদিও রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক বা নব নিযুক্ত প্রশাসক বিবেক পঙ্কজ বলেন, রাজ্য পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে রঘুনাথপুর পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে । সেই মতো আজকে দায়িত্বভার গ্রহন করলাম । নির্দিষ্ট সময়ে আস্থা ভোট করা হবে । তারপর নতুন পৌরপ্রধান যে হবেন তাকে দায়িত্বভার দেওয়া হবে।