আগাম জামিনের আবেদন খারিজ লালার

বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা

২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এ রাজ্যে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি কয়লা চুরি করে পাচার করা হয়েছে বলে আদালতে নথি দিয়ে দাবি করল ইডি।

কয়লা পাচারের মামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০১৪ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। সম্প্রতি ইডির কয়লা পাচারের মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার আগাম জামিনের মামলার শুনানিতে ইডি ওই নথি পেশ করেছে। গত ২২ মে লালার আবেদন খারিজও করেন দিল্লির রাউজ এভিনিউ ৪১১ নম্বর কক্ষের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক।।
কয়লা পাচারে সিবিআইয়ের করা মামলার বিচার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে আসানসোল বিশেষ আদালতে শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই মামলায় রক্ষা কবচে রয়েছে লালা। আদালতের নির্দেশে বিচার প্রক্রিয়ায় সে নিয়মিত উপস্থিতও থাকছে। এর মধ্যে কয়লা চুরি নিয়ে ইডির মামলাতেও সে আগাম জামিনের আবেদন করেছিল। – ওই আবেদনের শুনানিতে দিল্লির – সিবিআই বিশেষ আদালতে নথি পেশ করে ইডির দাবি, একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করে কয়লার মতো জাতীয় সম্পত্তি বেআইনি ভাবে মাটি খুঁড়ে তুলে যথেচ্ছ ভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক এবং প্রভাবশালী যোগেই ওই বৃহৎ সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছিল। ওই ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম প্রান্ত আসানসোল রানীগঞ্জ কয়লাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার জাতীয় সম্পত্তি তছনছ করা হয়েছে। অভিযোগ আয় বহির্ভূত সম্পতি করেছে লালা।

ইডির পেশ করা নথির প্রেক্ষিতে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, বিপুল পরিমান আয় ববহির্ভূত সম্মতি, বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করা হয়েছে। ওই কয়লা চুরির ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। এমন অবস্থায় মূল অভিযুক্ত আগাম জামিনের আবেদন করে নিজেকে আইনি রক্ষাকবচের মাধ্যমে আড়াল করার চেষ্টা করছে। আদালতের মতে, কোটি কোটি টাকার প্রাকৃতিক সম্পদ বেআইনি ভাবে উত্তোলন করে বিক্রিতে লাভবান হয়েছে অভিযুক্ত লালা ও তার ঘনিষ্ঠরা। পাশাপাশি, তার ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরাও আর্থিক ভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছে বলে আদালতের অভিমত। ওই সব প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন ও চুরিতে অভিযুক্ত অর্থাৎ লালার সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে জানিয়ে আদালত মনে করছে, কোনও ভাবেই লালার আগাম জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।

ইডি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত লালার প্রায় ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবং নথি পেশ করে তা আদালতকে জানানো হয়। তা ছাড়া তিন বছরে কয়লা চুরি ও বিক্রির সবিস্তার তথ্য ও একাধিক সাক্ষী রয়েছে বলেও ইডি সূত্রের দাবি। সব তথ্য নথি আকারে আদালতে পেশ করা হয়েছে।।

Related Posts

আমের পেটির আড়ালে জাল নোট পাচারের ছক! আসানসোলে এসটিএফের জালে ধরা পড়ল পাচারকারী

বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা মালদা থেকে আসানসোলগামী একটি সরকারি নাইট সার্ভিস বাসে আমের পেটির আড়ালে জাল নোট পাচারের ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে এক পাচারকারী। বৃহস্পতিবার সকালে জুবলী মোরে আসানসোল…

Read more

চিনাকুড়ি কয়লাখনিতে ৫৫ শ্রমিকের পুনর্বহাল ও স্থানীয় নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ

বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা ৫৫জন শ্রমিককে কাজে পুর্নবহাল এবং স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে আসানসোলের কুলটির চিনাকুড়ি একটি বেসরকারী কয়লাখনিতে বিক্ষোভ দেখাল এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সমস্ত গ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীদের…

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *