
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাযর মালদা জেলায় সক্রিয় নারী পাচার চক্র, অভিযোগ বিজেপির। কিভাবে এক যুবতী বাংলাদেশে পৌঁছে গেল জবাব কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিএসএফকে দিতে হবে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।

মালদার বামন গোলা থানার গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক যুবতী রাতারাতি নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে, বামন গোলা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়।
এরপরই ওই যুবতী মালদা জেলার পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সপাহার থানার বামনপাড়া এলাকা থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের হাতে উদ্ধার হয়। তার সাথে মাসুদ নামে এক বাংলাদেশি যুবক ছিল। এরপরই ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের সপাহার থানার পুলিশ।
যুবতীর পরিবারের অভিযোগ এই যুবকের ব্যাপারে তারা কিছু জানে না সম্ভবত সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে এর সাথে পরিচয় হয়েছিল। এই যুবকের বাড়ি বাংলাদেশে। তাকে প্রেমের জালে ফাসিয়ে পাচার করা হচ্ছিল। কিভাবে মেয়েকে এখন ফেরত আনবে বুঝতে পারছে না পরিবার।
বিজেপি উত্তর মালদা সংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তথা ওই এলাকার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বীনা কীর্তনীয়া বলেন, মালদার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে রয়েছে। লাভ জেহাদের নাম করে এই যুবতীকে পাচার করা হচ্ছিল। এই রাজ্যের পুলিশের উদাসীনতার কারণেই এই এলাকায় পাচার চক্র সক্রিয় আছে দীর্ঘদিন ধরে।
পাল্টা বামন গোলা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য অশোক সরকার বলেন সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিএসএফের। কিভাবে এই যুবতী সীমান্ত পার করলো এর জবাব বিএসএফকে দিতে হবে। বিজেপির মুখে এসব মানায় না।
এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে কিভাবে ফেরত পাবে, তা বুঝতে পারছে না ওই যুবতীর পরিবার। এখন দেখার কি ভাবে ঐ নিখোঁজ যুবতি বাংলাদেশ থেকে ফরে। আসে।।