
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব জামাইষষ্ঠী এবার কলকাতার প্রখ্যাত উই ম্যাডাম রেস্টুরেন্টে এক অনন্য রোমাঞ্চে উদযাপিত হল। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র, প্রাক্তন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী, আসানসোল পৌরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি তাঁদের মেয়ে পল্লবী এবং জামাই আদর্শ শর্মার প্রথম জামাইষষ্ঠী উৎসব এই রেস্টুরেন্টে পালন করলেন। বাঙালি সংস্কৃতির সমস্ত রীতিনীতি মেনে এই অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটল, যা উপস্থিত সকলের মনে চিরস্থায়ী স্মৃতি রেখে গেল।

জামাইষষ্ঠী, বাঙালি সমাজে একটি বিশেষ উৎসব, যেখানে শ্বশুরবাড়ি তাঁদের জামাইয়ের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রকাশ করে। এই দিনে উই ম্যাডাম রেস্টুরেন্টের মনোরম পরিবেশে জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও চৈতালি তেওয়ারি তাঁদের জামাই আদর্শ শর্মাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। ঐতিহ্যবাহী ষষ্ঠী পূজার আয়োজনের পাশাপাশি, জামাইয়ের জন্য বিশেষ খাদ্যতালিকায় ছিল মুখরোচক মিষ্টি, ফল, এবং বাঙালি রান্নার নানা সুস্বাদু পদ। পল্লবী ও আদর্শের প্রথম জামাইষষ্ঠী উদযাপন এই পরিবারের কাছে ছিল এক আবেগঘন ও গর্বের মুহূর্ত।
উই ম্যাডাম রেস্টুরেন্টের সুসজ্জিত পরিবেশ এই উৎসবকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছিল। ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাজসজ্জা, ফুলের মালা, এবং মৃদু আলোকসজ্জার সমন্বয়ে রেস্টুরেন্টটি যেন এক ঐতিহ্যবাহী বাঙালি বাড়ির রূপ নিয়েছিল। জিতেন্দ্র তেওয়ারি এই উপলক্ষে বলেন, “জামাইষষ্ঠী আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের মেয়ে পল্লবী ও জামাই আদর্শের জন্য এই দিনটি বিশেষ। আমরা চেয়েছিলাম ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে এই উৎসবটি অবিস্মরণীয় করে তুলতে।”
চৈতালি তেওয়ারি জানান, “এই দিনটি আমাদের পরিবারের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। উই ম্যাডাম রেস্টুরেন্টের আতিথেয়তা এবং তাদের সুন্দর ব্যবস্থাপনা আমাদের এই উৎসবকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে।” উপস্থিত অতিথিরা এই উৎসবের উষ্ণতা ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখে মুগ্ধ হন।
জামাইষষ্ঠীর এই উদযাপন শুধুমাত্র একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানই নয়, বরং বাঙালি ঐতিহ্যের একটি জীবন্ত প্রকাশ। এই দিনে তেওয়ারি পরিবারের আনন্দঘন মুহূর্ত এবং উই ম্যাডাম রেস্টুরেন্টের অতুলনীয় আতিথেয়তা কলকাতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে এক নতুন অধ্যায় যোগ করল।