
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
দীর্ঘ ১১ বছরে কি কি পরিবর্তন ও বিকাশ হয়েছে সে বিষয়গুলিকে জানান দেওয়ার লক্ষ্যে এবার কয়লা অঞ্চলের শহর রানীগঞ্জে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে নিজের মতামত তুলে ধরতে হাজির হলেন ভারতের কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র দুবে।

এদিন দুপুর নাগাদ তিনি গাড়িতে করে রানীগঞ্জের লায়ন্স পাতসরিয়া মেমোরিয়াল হলে হাজির হয়ে কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস সরকার উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেয়নি, আধুনিকতার ওপর গুরুত্ব দেয়নি ও দেশকে উন্নত বিকশিত করার লক্ষ্যেও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলেই দাবি করে, মোদি সরকার একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ করে দেশকে শক্তিশালী, সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলেছে বলেই দাবি করেন। তার দাবি বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে তিনি কৃষি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে পেরেছেন। তিনি তার বক্তব্যে সর্বদাই দাবি করেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ সাবকা প্রয়াস এরই মাধ্যমে তিনি দেশের প্রযুক্তিকে উন্নততর করেছেন। তাই জঙ্গি দমন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীকে মজবুত করার লক্ষ্যে দেশের সামরিক শক্তিকে বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও দেশকে সুফল ও সুজলা করতে সচেষ্ট রয়েছেন মোদি সরকার। আজ বিশ্বের দরবারে ভারত উন্নত দেশগুলির সাথে এগিয়ে চলেছে করোনার সময়কালে ভারতের তৈরি প্রতিষেধক পৌঁছে গেছে বিশ্বের দরবারে তাই শুধু কৃষি ক্ষেত্রই নয় শিল্পক্ষেত্র ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে সর্বদাই এগিয়ে চলেছে ভারত এমনি দাবী করার সাথেই, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে তার বক্তব্যে দাবি করলেন, আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তোষণের রাজনীতি চালাচ্ছেন, তুষ্টিকরণের রাজনীতি চালাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি এই বলে তিনি দাবি করেন আজ ব্যানার পোস্টারে বিশেষ এক সম্প্রদায়ের জন্য যে রূপ ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায়, সেখানে অন্য সব উৎসবে তার অনীহা লক্ষ্য করা যায়, এই বলেই তিনি দাবি করেন এতই যদি অনীহা তাহলে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছেন না কেন ? এই জানান দিয়ে তিনি দাবি করেন আজ ভিনদেশের লোকজনেদের পশ্চিমবঙ্গে ঢুকিয়ে ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তার দাবি ভারত কোন ধর্মশালা নয় যে যখন যে কেউ যেরকম ভাবেই অন্য দেশ থেকে এদেশে অন্য দেশের নাগরিককে ঢুকিয়ে দেবে। এমনই দাবি করে তিনি গোলামীর মানসিকতার উদাহরণ তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। তবে সামগ্রিক এই অনুষ্ঠান কর্মসূচিতে তার বক্তব্যের আদ্যোপান্তে কোথাও কয়লা শিল্প নিয়ে কি কি উন্নয়ন হয়েছে, কি কি ভাবে কয়লা শিল্পকে আরো বাড়িয়ে নেওয়া যায় ও কয়লা শিল্পের ভবিষ্যৎ কি সে সকল সম্পর্কে কোন মন্তব্যই উঠে আসে না। তবে এই কর্মসূচির মঞ্চে তিনি ২০২৬ শে মমতা সরকারকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দেন কর্মী সমর্থকদের মাঝে। এদিন তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে, এলাকায় কয়লা শিল্পের জন্য থাকা জমি কেন জমি মাফিয়ারা নিয়ে নিচ্ছেন, কেনই বা পরিত্যক্ত খনি আবাসন গুলি অবৈধভাবে বসবাসের জন্য ছেড়ে রাখা হচ্ছে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার ভুক্ত মুক্ত বলেই দায় সারেন। একইভাবে রানীগঞ্জ শহরকে কয়লা উত্তোলনের জন্য সরিয়ে দেওয়া হবে কিনা ? তা নিয়েও সঠিক কোন কিছু তার জানা নেই বলেই দাবি করেন।