
দুর্গাপুর, ১৪ জুন, ২০২৫: পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গের সামনে আজ দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। পাণ্ডবেশ্বরের সক্রিয় বিজেপি কর্মী সঞ্জয় যাদবের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় সঞ্জয়কে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে বিধাননগরের সুপার স্পেশালিটি এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামীরাই এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন বিজেপি নেতা তথা পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারী। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শাসকদলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টিকে বিজেপির ‘নাটক’ বলে অভিহিত করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় আজ দুপুরে। গতকাল খনিতে কর্মরত অবস্থায় মৃত এক শ্রমিকের ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন সঞ্জয় যাদব। মৃত শ্রমিক সম্পর্কে সঞ্জয়ের আত্মীয়। সঞ্জয়ের অভিযোগ, ময়নাতদন্তের জন্য আসার সময় হঠাৎই জনা তিরিশ দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে হাসপাতালের সামনে তাঁর ওপর চড়াও হয়। নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মহকুমা হাসপাতালের মর্গে। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত বিজেপি নেতা সঞ্জয় যাদব স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা সবাই তৃণমূল আশ্রিত। খবর পেয়ে হাসপাতালে প্রথমে ছুটে আসেন বিজেপির জেলা নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে আসেন জিতেন্দ্র তেওয়ারী। জিতেন্দ্র তেওয়ারী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “২০২৬ এর পর মারের বদলা মার হবে।” তিনি আরও জানান, যদি পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে তবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে এবং ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু হবে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা মুখপত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি গুরুত্বহীন। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আজ কলকাতাতে আছেন, উনি কেন মিথ্যা বলছেন?” সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক পারদ আরও চড়েছে।