
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
বার্নপুর, ১৫ জুন ২০২৫: স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বার্নপুরের হিরাপুর থানায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সুশান্ত বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তার স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ধারা ৩১৮(৪)(প্রতারণা) এবং বিএনএস-এর ধারা ৬১(২)-এ(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারা এবং বিদেশী সংশোধনী আইন ২০০৪-এর ১৪এ(বি) ধারায় মামলা রুজু করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করার পর তাকে ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

সুশান্ত বিশ্বাস, যিনি SAIL ISP বার্নপুরের একজন কর্মচারী এবং ছোটাদিঘরির কোয়ার্টার -এ বসবাস করেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে গোপনে ভারতে প্রবেশ করে বসবাস করছিলেন। সুশান্তর স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছে, ১৯৮৯ সালে সুশান্ত বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে আসেন, যখন তার বাবা-মা বাংলাদেশে বসবাস করতেন। তার ভাই দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস এখনও বাংলাদেশের পণ্ডিতপুর গ্রামে থাকেন, যা তার পৈতৃক নিবাস।

এরপর পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, সীমান্ত অতিক্রমের পর সুশান্ত নদিয়ার ধনতলা থানার অন্তর্গত কেসাইপুর গ্রামে তার বোন বাসনা বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর, ১৯৯০-৯১ সালে তিনি জাল চতুর্থ শ্রেণীর সার্টিফিকেট তৈরি করে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ক্রমাগত পড়াশোনা চালিয়ে তিনি স্নাতক এবং আইটিআই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। ২০০৩ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি কেসাইপুর ঠিকানায় ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করেন।
পুলিশের তদন্তে প্রকাশ, সুশান্ত বিশ্বাস এই জাল নথিপত্র ব্যবহার করে SAIL ISP বার্নপুরে চাকরি পান। তবে, তার ভারতে বৈধ প্রবেশের কোনও প্রমাণ না থাকায় তিনি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন, ভারতীয় নাগরিক নন।
হিরাপুর থানার পুলিশ এই জালিয়াতির ঘটনায় গভীরভাবে তদন্ত করছে। সুশান্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, জাল নথি তৈরি এবং প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি অর্জনের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।