আসানসোল পুরনিগমে নোংরা ও গন্ধযুক্ত জল! টাইম কলে মিলছে অসুস্থতার আশঙ্কা, জনমানসে ক্ষোভ

বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা

আসানসোল, ২৩ জুন : আসানসোল শহরের একাধিক ওয়ার্ডে টাইম কলে মিলছে মাটি ও দুর্গন্ধযুক্ত জল। পান করার অনুপযুক্ত এই জল নিয়ে চরম অসন্তোষ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকার আপকার গার্ডেন, ডলিলজ, চিত্রা, ধ্রুবডাঙ্গা, রেলপারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, কন্যাপুর স্যাটেলাইট টাউন, কাল্লা, ডিপুপাড়া সহ বহু এলাকায় এমন জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।


স্থানীয়দের দাবি, বিগত কয়েকদিন ধরে টাইম কলে আসা জলে তীব্র দুর্গন্ধ ও দৃশ্যমান মাটি-সহ অপদ্রব্য মিশে রয়েছে। এই জল পান তো দূরের কথা, ব্যবহারও করা যাচ্ছে না। জলবাহিত রোগের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা কেউ কেউ ইতিমধ্যেই জলের বোতল কিনে খাওয়া শুরু করেছেন। তবে প্রত্যেকের পক্ষে তা সম্ভব নয় বলে দাবি উঠেছে।
এই সব এলাকার জল সরবরাহ হয় পৌরনিগমের ডিহিকা জল প্রকল্প থেকে। সেই প্রকল্প নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল, এবার সেই সমস্যা আরও জটিল আকার নিয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, “জল খুললেই নাক ঢেকে রাখতে হয়। চোখের সামনে দেখা যায় মাটি-মিশ্রিত গন্ধযুক্ত জল।”
ধ্রুবডাঙ্গা, আপকার গার্ডেন, রেলপারের অংশ, ডলিলজ এলাকা থেকেও একই অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শিশু ও প্রবীণদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত পরিবারগুলি দ্রুত কোনও স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালী তেওয়ারি।
এ বিষয়ে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বর্ষাকালে ডিভিসি মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে যে জল ছাড়ে তা কিছুটা ঘোলাটে হয়। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা ইতিমধ্যেই কাজ করছেন।”
তবে নাগরিকদের প্রশ্ন—‘এই সমস্যা কবে মিটবে?’ কারণ এই প্রথম নয়, এর আগেও বারবার পানীয় জল নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণমান নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ঘাটতি এখনও রয়েই গিয়েছে।
পানীয় জল নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। ১০৬টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত আসানসোল পুরনিগমের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই ধরনের অবস্থা উন্নয়নের দাবিকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। সাধারণ মানুষের দাবি—ঘোষণা নয়, চাই বাস্তবসম্মত ও দ্রুত সমাধান।


স্থানীয়দের দাবি, বিগত কয়েকদিন ধরে টাইম কলে আসা জলে তীব্র দুর্গন্ধ ও দৃশ্যমান মাটি-সহ অপদ্রব্য মিশে রয়েছে। এই জল পান তো দূরের কথা, ব্যবহারও করা যাচ্ছে না। জলবাহিত রোগের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা কেউ কেউ ইতিমধ্যেই জলের বোতল কিনে খাওয়া শুরু করেছেন। তবে প্রত্যেকের পক্ষে তা সম্ভব নয় বলে দাবি উঠেছে।
এই সব এলাকার জল সরবরাহ হয় পৌরনিগমের ডিহিকা জল প্রকল্প থেকে। সেই প্রকল্প নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল, এবার সেই সমস্যা আরও জটিল আকার নিয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, “জল খুললেই নাক ঢেকে রাখতে হয়। চোখের সামনে দেখা যায় মাটি-মিশ্রিত গন্ধযুক্ত জল।”
ধ্রুবডাঙ্গা, আপকার গার্ডেন, রেলপারের অংশ, ডলিলজ এলাকা থেকেও একই অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শিশু ও প্রবীণদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত পরিবারগুলি দ্রুত কোনও স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালী তেওয়ারি।
এ বিষয়ে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বর্ষাকালে ডিভিসি মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে যে জল ছাড়ে তা কিছুটা ঘোলাটে হয়। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা ইতিমধ্যেই কাজ করছেন।”
তবে নাগরিকদের প্রশ্ন—‘এই সমস্যা কবে মিটবে?’ কারণ এই প্রথম নয়, এর আগেও বারবার পানীয় জল নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণমান নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ঘাটতি এখনও রয়েই গিয়েছে।
পানীয় জল নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। ১০৬টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত আসানসোল পুরনিগমের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই ধরনের অবস্থা উন্নয়নের দাবিকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। সাধারণ মানুষের দাবি—ঘোষণা নয়, চাই বাস্তবসম্মত ও দ্রুত সমাধান।

Related Posts

अचानक रुकी भोजन सेवा से बेहाल असहाय लोग — आसानसोल रेल डिवीजन ने बिना कारण बताए बंद कराया कार्यक्रम

बंगलार जागरण डॉट कॉम संवाददाता शहर के 13 नंबर मोड़ स्थित पुराने रेलवे फायर ब्रिगेड दफ्तर में वर्षों से एक सामाजिक संस्था द्वारा प्रतिदिन दोपहर में सैकड़ों गरीब, बेसहारा और…

Read more

এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে জোরকদমে প্রচার—হাউজিং কমপ্লেক্স থেকে গ্রামাঞ্চলে ছুটে বেড়াচ্ছে প্রশাসন

বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা এনুমারেশন ফর্ম কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে—তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে এখন জেলা শাসক থেকে আসানসোল মহকুমা প্রশাসন সকলেই গণজাগরণে নেমেছে। শহরের বড় বড় হাউজিং কমপ্লেক্স,…

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *