
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
চরন মুখার্জি,রানিগঞ্জ: রবিবার, ছুটির দিনে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত রানীগঞ্জের গ্রামীণ এলাকা বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করলেন বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি বল্লভপুরে একটি ফুটবল মাঠে শিশু-কিশোরদের ফুটবল খেলার উদ্বোধন করে খেলার সূচনা করেন। এর পাশাপাশি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্থানীয়দের সুবিধে-অসুবিধের বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি।

এই জনসংযোগ কর্মসূচির সময় অগ্নিমিত্রা পাল এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে বলেন, “রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বদলে আমরা অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার গড়ে তুলব। এর মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে এবং এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিষেবা নিশ্চিত করা হবে।” তিনি এলাকার মন্দিরগুলির উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন তহবিলের টাকা বরাদ্দে বাধার কারণ সম্পর্কেও স্থানীয়দের অবহিত করেন।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অগ্নিমিত্রা পাল আসানসোল কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক কারখানায় অভিযান নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি এই অভিযানকে ‘নিছক লোক দেখানো’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, “এই ধরনের অভিযানে কোনও প্রকৃত উদ্দেশ্য নেই, এটা শুধু জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার প্রচেষ্টা।” এছাড়াও, তিনি কসবা ল কলেজে নারী নির্যাতনের ঘটনা সহ রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, “রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই ধরনের ঘটনার দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।”
বল্লভপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা অগ্নিমিত্রা পালের এই জনসংযোগ কর্মসূচির প্রশংসা করলেও, কেউ কেউ তাঁর ঘোষণাগুলির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা চাই আমাদের এলাকার উন্নয়ন হোক, কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিগুলো যেন শুধু কথার কথা না হয়।”
অগ্নিমিত্রা পালের এই কর্মসূচি ও ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা তাঁর এই অভিযোগগুলিকে ‘রাজনৈতিক প্রচার’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে, আগামী দিনে এই ঘোষণাগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়, তা নিয়ে এলাকার মানুষের নজর থাকবে।