
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
জামুরিয়া, ১২ জুলাই ২০২৫: বীরভূম থেকে জামুরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা একটি যাত্রীবোঝাই নৌকা অজয় নদের মাঝখানে পানীয় জলের প্রকল্পের পাইপলাইনে আটকে পড়ায় বড় ধরনের বিপত্তি দেখা দিয়েছে। নৌকার ইঞ্জিনে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাইপলাইনে আটকে যায়, ফলে নৌকাটি কোনও দিকে এগোতে পারছে না। নৌকায় থাকা প্রায় ১২ জন যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, কারণ নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। ঘটনাস্থলে জামুরিয়া থানার পুলিশ এবং আসানসোল থেকে সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।

জানা গেছে, শনিবার ভোরে বীরভূমের দিক থেকে নৌকাটি জামুরিয়ার সিদ্ধপুর-বাগডিহা ঘাটের দিকে আসছিল। নৌকার ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এটি নদীর মাঝে থাকা পানীয় জলের প্রকল্পের পাইপলাইনে আটকে যায়। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ জলস্তর আরও বাড়লে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকায় থাকা যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে, যারা এই পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে আতঙ্কিত।
জামুরিয়া থানার পুলিশ ঘটনার খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশাপাশি, আসানসোল থেকে সিভিল ডিফেন্সের একটি দক্ষ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নৌকাটি পাইপলাইনে আটকে থাকায় এটিকে নিরাপদে সরানোর জন্য বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল নৌকাটিকে পাইপলাইন থেকে মুক্ত করে নিরাপদে তীরে আনার চেষ্টা করছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “বর্ষার সময় জলস্তর বাড়লে এমন ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ে। যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হলে আমরা স্বস্তি পাব।”
জামুরিয়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। সিভিল ডিফেন্সের দল অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা।”
নদীর জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কায় উদ্ধারকাজে তীব্রতা আনা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল জলস্তরের ওপর নজর রেখে দ্রুত এবং নিরাপদে যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছেন।
অজয় নদের তীরবর্তী এলাকায় বর্ষার সময় নদীপথে যাতায়াতের সময় এ ধরনের ঘটনা বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ায়। স্থানীয়রা নদীপথে যাতায়াতের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং পানীয় জলের প্রকল্পের পাইপলাইনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
উদ্ধারকাজ এখনও চলছে, এবং প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে জলস্তর আরও বাড়ার আগে যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।