
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
পাটনায় ২৬ শে জুলাই শুক্রবার, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এক উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেছেন: “‘বিহার পত্রকার সম্মান পেনশন যোজনা'”র আওতায় রাজ্যের সমস্ত স্বীকৃত মৃতপ্রায় সাংবাদিক বা অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য মাসিক পেনশন এখন থেকে ₹ ১৫,০০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল ₹ ৬,০০০ ।
এছাড়াও, যেসব সাংবাদিক পেনশন উপভোগ করতে করতে প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের নির্ভরশীল স্ত্রী/স্বামীদের জন্য পরিবার পেনশন ₹ ১০,০০০ নির্ধারণ করা হয়েছে — যা পূর্বে ছিল ₹ ৩,০০০ ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের অফিসিয়াল এক্স (X) পোস্টে লিখেছেন,
> “মনে হচ্ছে দেখা যাচ্ছে যে, ‘বিহার পত্রকার সম্মান পেনশন যোজনা’র আওতায় তাঁদের সবাইকে মাসে ₹ ১৫,০০০‑এর বদলে ₹ ৬,০০০-এর পরিবর্তে দেওয়া হবে। আর প্রয়োজনে সাংবাদিকের মৃত্যুর পর তাঁর নির্ভরশীল স্ত্রী/স্বামীকে মাসে ₹ ১০,০০০‑এর বদলে ₹ ৩,০০০-এর পরিবর্তে দেওয়া হবে।”

তিনি সাংবাদিকদের “গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ” হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তাঁদের নির্ভয়ারিত ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করতে পেশাগত নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন পাওয়ার অধিকার রয়েছে ।
এই সিদ্ধান্তটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে, যেখানে সাংবাদিক সম্প্রদায় সহ অন্যান্য সমাজের অংশগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তা ও সমর্থন বজায় রাখা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে ।
পেনশন বৃদ্ধি অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের ₹ ৬,০০০ থেকে ₹ ১৫,০০০ প্রতি মাসে।
পরিবার পেনশন সাংবাদিকের মৃত্যুর পর পরিবারকে ₹ ৩,০০০ থেকে ₹ ১০,০০০ প্রতি মাসে।
উদ্দেশ্য সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন ও অবসর জীবনে নিরাপদ, সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করা।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তার উদ্দেশ্যে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সাংবাদিক এবং মিডিয়া সংশ্লিষ্ট আইনের সঙ্গে যুক্তরা উল্লেখ করেছেন, এই ঘোষণা সাংবাদিক সমাজের কষ্টমিথ্যা প্রশংসা নয়, বরং তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি ও জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
কিছু বিশ্লেষক এ সিদ্ধান্তকে সাংবাদিক সমাজে ভরসা ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, বিশেষ করে যাঁদের মাসিক আয় ছিল সীমিত।
বিহারের এই নতুন পদক্ষেপ সাংবাদিক সমাজের জন্য ইতিবাচক ও অর্থবহ রূপে উদ্ভাসিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের কল্যাণে আরও এমন পদক্ষেপ আশা করা যায়। সাধারণ মানুষ এখন প্রত্যাশা করছে: এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদিভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং বাস্তব পরিবর্তন নিয়ে আসবে।