বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা

রেলওয়ে ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে চলা ধর্না আজ এক হাজার দিনে পা দিল। লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি পর্যন্ত প্রায় ২৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্টার্ন রেল ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর প্রকল্পের জন্য আসানসোলের ৭০ বছরের পুরোনো ব্যবসায়িক বাজার ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এর বিরোধিতা করেই টানা এক হাজার দিন ধরে রেলওয়ে ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনে সামিল।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১৪ সালে জমি অধিগ্রহণের জন্য নোটিফিকেশন জারি হয়। জমিদাতারা ক্ষতিপূরণ পেলেও প্রায় ৩১১ জন ভাড়াটে দোকানদার এখনো পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, জমিদাতাদের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করে রেলপক্ষ টাকা পরিশোধ করে দিলেও দোকানদারদের ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। ফলে ২০১৫ সাল থেকে আন্দোলনের সূচনা হয় এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে সব দোকানদারকে নিয়ে ধর্না শুরু হয়, যা আজ এক হাজার দিনে পৌঁছেছে।
চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের অন্য কোনো জীবিকার বিকল্প নেই। পাঁচ দশক ধরে আমরা এখানে ব্যবসা করছি। যদি এখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হয় তবে পরিবার নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এদিকে, ফ্রেট করিডোরের দ্রুত নির্মাণ নিয়ে সাধারণ আসানসোলবাসীও নানা সময়ে রেলের কাছে আবেদন জানিয়েছে। কারণ এই করিডোর চালু হলে আসানসোলসহ সমগ্র পশ্চিম বর্ধমান জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্প-বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থায় গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আন্দোলন ও রেলের দড়ি টানাটানির কারণে কাজ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এক হাজার দিনে পদার্পণ উপলক্ষে আজ আন্দোলন মঞ্চ থেকে বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা একবাক্যে জানিয়েছেন, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।






