বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
শিল্পাঞ্চল আসানসোল এবার নাটকের আসরে সরগরম। সোমবার সন্ধ্যায় আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে পর্দা উঠল তিনদিনব্যাপী নাট্য উৎসবের। আজ বুধবার তার সমাপ্তি হলো। বার্নপুর উৎসব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবের উদ্বোধন করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা পার্থ ভৌমিক। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রানীগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জানান, নাটক কেবলমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, সমাজকে প্রতিবিম্বিত করার এক শক্তিশালী হাতিয়ার।

সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, “আজকের প্রজন্মকে থিয়েটারের প্রতি আকৃষ্ট করা সময়ের দাবি। এই ধরনের উৎসব সাংস্কৃতিক চর্চাকে সমৃদ্ধ করবে।” একইসঙ্গে বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আসানসোল সবসময়ই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত, এই উৎসব তারই ধারাবাহিকতা।
এই উৎসব তিনদিন ধরে নাট্য সংস্থাগুলি বিভিন্ন সামাজিক ও সমকালীন বিষয়ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করে। প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয় নাট্য প্রদর্শনী, যেখানে বাংলা থিয়েটারের বৈচিত্র্যময় রূপ দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন।
বার্নপুর উৎসব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় শিল্পীদের মঞ্চে তুলে ধরার পাশাপাশি দর্শকদের কাছে মানসম্মত নাটক পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের আশা, আগামী দিনে এই নাট্য উৎসব আরও বৃহৎ আকার ধারণ করবে এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাট্যপ্রেমীরা আসানসোলে ভিড় জমাবেন।
উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। নাট্যপ্রেমীদের মতে, ওটিটি আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের যুগেও নাটক এখনও মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিতে পারে, আর এ ধরনের উৎসবই তার প্রমাণ।
তিনদিন ধরে এই নাট্য উৎসবকে ঘিরে শহরে তৈরি হয়েছে সাংস্কৃতিক আবহ। নাটকপ্রেমী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক—সবাই অধীর আগ্রহে যেন অপেক্ষায় ছিলেন নানা প্রযোজনার জন্য। শিল্পের মাধ্যমে সমাজকে নতুন দিশা দেখানোর অঙ্গীকার নিয়েই এগিয়ে চলে আসানসোলের এই নাট্য উৎসব।








