বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
জমি হারিয়ে এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুত চাকরি বা ক্ষতিপূরণের টাকার কোনো খোঁজ নেই। ক্ষোভে ফুঁসে উঠে সোমবার সকালে আসানসোলের জামুড়িয়ার হুড়মাডাঙ্গা গ্রামে তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভে সামিল হলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। বিক্ষোভকারীরা একটি বেসরকারি কারখানার গেট বন্ধ করে প্রতিবাদে বসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে হুড়মাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তুলসী মেঝানের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ। তখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল জমির বিনিময়ে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দ্বারস্থ হওয়ার পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে ক্ষোভের মুখে পড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়।
সোমবার সকালে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তীর-ধনুক হাতে কারখানার গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় জামুড়িয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ প্রশাসন বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
এক বিক্ষোভকারী জানান, “আমাদের জমি কারখানার জন্য নিয়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ বা চাকরির কোনো দেখা নেই। আমরা শুধু ন্যায্য অধিকার চাই। এভাবে চলতে পারে না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “কারখানার কারণে আমাদের জীবিকা চলে গেল, অথচ আমরা কিছুই পেলাম না। ন্যায় না পেলে আমরা আন্দোলন আরও জোরদার করব।”
অন্যদিকে, কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত ও পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।






