বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
আসানসোল লোকো ট্যাঙ্ক পুকুরে সপ্তমীর সকালে ডি আর এম বিনীতা শ্রীবাস্তব কাঁধে নবপত্রিকা নিয়ে স্নান সম্পন্ন করেন। প্রাচীন প্রথা মেনে শুরু হল দুর্গাপুজোর মূল পর্ব, ভোর থেকেই স্থানীয়দের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

চিরাচরিত প্রথা মেনে সপ্তমীর ভোরেই নবপত্রিকা স্নান সম্পন্ন হল আসানসোলে। পূর্ব রেলের আসানসোল রেল ডিভিশনের ডি আর এম বিনীতা শ্রীবাস্তব নিজে কাঁধে করে দোলা নিয়ে আসানসোল লোকো ট্যাঙ্ক পুকুরে গিয়ে নবপত্রিকা স্নান করান। পরে নবপত্রিকাকে রেলওয়ে অফিসার ক্লাবের পুজোমণ্ডপে নিয়ে আসা হয়।
এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত মহিলারা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে বরন করেন। স্থানীয় ঐতিহ্য মেনে আসানসোল গ্রাম, নিয়ামতপুর, কুলটি, বার্ণপুর, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া ও বারাবনির বিভিন্ন পুকুর থেকেই ঘট উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহাসপ্তমীর পুজোর সূচনা ঘটে।
ভোর থেকেই নবপত্রিকা স্নান ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নবপত্রিকা স্নানের পরই দেবীপক্ষের পূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রাচীন নিয়মে এই আচার দিয়েই দুর্গাপুজোর মূল পর্বের সূচনা হয় এবং শুভ শক্তিকে আহ্বান জানানো হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়ি ও পাড়ার দুর্গাপুজোয় সম্পন্ন হল এই বিশেষ আচার, যা দুর্গোৎসবের আবহকে আরও আনন্দঘন করে তুলেছে।






