বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
চিরাচরিত প্রথা মেনে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মহাসপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হল দুর্গাপুজোর মূল পর্ব। নিয়ামতপুর, কুলটি, বার্ণপুর, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া ও বারাবনির বিভিন্ন পুকুর থেকে ঘট উত্তোলনের মাধ্যমে এই পবিত্র আচার সম্পন্ন হয়। ভোর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহী ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

নবপত্রিকা স্নানের পর সদবা মহিলারা একে অপরকে সিন্দুর পরিয়ে বরণ করে নেন, যা এই আচারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রাচীন রীতি মেনে শুভ শক্তির আহ্বানের মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের পুজো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। আসানসোল গ্রামসহ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়ি ও পাড়ার পুজোমণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে এই বিশেষ আচার পালিত হয়।
স্থানীয়দের মতে, নবপত্রিকা স্নান শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আচারই নয়, এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের প্রতীকও। ভোরের প্রথম আলোয় পুকুরের ধারে জড়ো হওয়া মানুষের উৎসাহ আর ভক্তিভাব এই উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলেছে। আসানসোলের বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, এই আচারের মাধ্যমে মা দুর্গার আগমনকে আরও পবিত্র ও শক্তিশালীভাবে উদযাপন করা হয়।
মহাসপ্তমীর এই শুভ লগ্নে আসানসোলের মানুষের মধ্যে দুর্গাপুজোর উৎসাহ তুঙ্গে। নবপত্রিকা স্নানের পর পুজোমণ্ডপগুলিতে আরতি, পুষ্পাঞ্জলি ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মা দুর্গার আরাধনা চলছে পুরোদমে। এই উৎসবের মাধ্যমে আসানসোলের শিল্পাঞ্চল এক অনন্য সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মিলনের সাক্ষী হয়ে উঠেছে।






