বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুর্গাপূজার সমাপ্তি উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে আয়োজিত হচ্ছে পূজা কার্নিভাল। এক সময় শুধুমাত্র কলকাতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল এই অনুষ্ঠান, তবে গত কয়েক বছর ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও এই বর্ণাঢ্য কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে।

২০২3 সাল থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল ও দুর্গাপুরে পূজা কার্নিভালের আয়োজন শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও আসানসোলে অনুষ্ঠিত হলো পূজা কার্নিভাল। যদিও নিম্নচাপের জেরে শহরে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল, তবুও সেই প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হয় এই সাংস্কৃতিক মহোৎসব।
এদিন আসানসোল কার্নিভালে মোট ১৫টি পূজা কমিটি তাদের সেরা সজ্জা ও শিল্পকলা নিয়ে অংশ নেয়।

কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা শাসক এস. পোন্নাবলম, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরি, মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত, সুব্রত অধিকারী, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, বিধায়ক হরেরাম সিংহ, সেন্ট প্যাট্রিক স্কুলের প্রিন্সিপাল নাইজেল ডিসুজা, শিল্পপতি বিজয় শর্মা, পবন গুটগুটিয়া, বিনোদ গুপ্তা, গৌরীশঙ্কর আগরওয়াল, এসবিএফসিআই-এর মহাসচিব জগদীশ বাগড়ি, আসানসোল চেম্বারের সম্পাদক শম্ভুনাথ ঝা, নরেশ আগরওয়াল সহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি।
অতিথিদের হাত ধরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রথমেই নারী ঢাকিদের পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। পরবর্তীতে শ্রীরাধার গান ও অভিনেতা শুভশ্রীর নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যা আসানসোলের নাগরিকদের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি দুর্গাপূজার আমেজকে আরও দীর্ঘায়িত করে তোলে।
নিম্নচাপের ঘনঘটা আর টানা বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই আসানসোল প্রমাণ করল—দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাংলার এক অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।






