বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
মানুষের অকৃতজ্ঞতার মর্ম বুঝেছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাই গালাগাল শুনেও রাগ নয়, ব্যঙ্গ আর বুদ্ধিদীপ্ত হাসিই ছিল তাঁর প্রতিক্রিয়া।
বাংলা নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শুধু শিক্ষাবিদ বা সমাজসংস্কারকই নন, তিনি ছিলেন অসাধারণ রসবোধ ও আত্মসংযমের প্রতিমূর্তি। তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে যেমন মানবতা, তেমনি লুকিয়ে ছিল তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গের ঝলক।
একদিনের ঘটনা।
বিদ্যাসাগর মশাই কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে এক ব্যক্তি তাঁর নাম শুনে প্রচণ্ড রাগে নানা রকম কটু কথা বলতে শুরু করলেন। চারপাশের লোকেরা থমকে গেলেন, সবাই ভাবলেন—এত বড় পণ্ডিত নিশ্চয়ই রেগে যাবেন। কিন্তু বিদ্যাসাগর থামলেন, মৃদু হাসলেন, তারপর শান্ত কণ্ঠে বললেন—
“আমাকে কেন গালাগালি করছেন? আমি তো আপনার কোনো উপকার করিনি!”

চারপাশ স্তব্ধ।
বক্তব্যের গভীরতা তখনই সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল। বিদ্যাসাগর আসলে ব্যঙ্গ করছিলেন মানুষের সেই স্বভাবকে—যার উপকার করা হয়, সেখান থেকেই অনেক সময় অকৃতজ্ঞতা বা অপমান আসে। তাঁর কথায় তাই তীক্ষ্ণ রসও আছে, গভীর জীবনবোধও।
এই ছোট্ট ঘটনাটি আজও মানুষের মুখে মুখে ঘোরে, প্রবাদে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যাসাগরের এই উক্তি আমাদের শেখায়—
বুদ্ধিদীপ্ত সংযম রাগের চেয়ে অনেক বড় শক্তি।
🟢 উক্তিটি আজও প্রাসঙ্গিক
সমাজে অন্যায়, কটূক্তি বা অযথা সমালোচনার জবাবে বিদ্যাসাগরের মতো শান্ত বুদ্ধি ও ব্যঙ্গাত্মক হাসি—এই শিক্ষাই আমাদের প্রেরণা হতে পারে।








