বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
চিত্তরঞ্জন, প্রতিনিধিঃ রেলওয়ে আবাসনে থেকে এক রেলকর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চিত্তরঞ্জন রেল শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায়, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ঠিক আগের দিন রাতে। মৃত রেলকর্মীর নাম প্রদীপ চৌধুরী। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে রেলওয়ে টাউন এলাকার ৬৪ নম্বর রোডের ২৫/বি কোয়ার্টার থেকে। খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল প্রদীপবাবুর স্ত্রী সঞ্চিতা চৌধুরীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের ২৮ নম্বর রোডের কোয়ার্টার থেকে। সেই সময় চিত্তরঞ্জন ও আসানসোল এলাকায় তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। পুলিশ সেই হত্যাকাণ্ডে প্রদীপবাবুকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল, যদিও সেই মামলার গতি আজও অন্ধকারে।
আর এবার সেই ঘটনার ছ’মাস পরই প্রদীপবাবুর নিজস্ব কোয়ার্টার থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরের পর প্রদীপবাবুর ছেলে দেবদিত্য চৌধুরী বাড়ির বাইরে যান। সন্ধ্যায় ফিরে এসে তিনি দেখেন, কোয়ার্টারের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বারবার ডাকাডাকিতেও ভিতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ও স্থানীয় ভাইস ওয়ার্ডেন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় প্রদীপ চৌধুরীর নিথর দেহ পড়ে আছে। মাথায় গুলির চিহ্ন স্পষ্ট।
ঘটনাস্থল ঘিরে ব্যাপক ভিড় জমে যায়। এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক ও কৌতূহল।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পশ্চিম) সন্দীপ কর জানিয়েছেন,
“এক রেলকর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।”
বর্তমানে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রদীপ বাবুর স্ত্রীর হত্যাকাণ্ড এখনও অমীমাংসিত থাকায়, তাঁর এই মৃত্যু রহস্যকে ঘিরে নতুন করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে চিত্তরঞ্জনের রেল নগরীতে।






