বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
আসানসোল: আসানসোলের দ্য অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুল (The Assembly of God Church School)–এর পরিচালনা নিয়ে চলা তীব্র বিতর্কের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় স্কুলের প্রিন্সিপাল জেসিকা স্পেন্সার এক গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগ তোলেন যে, কিছু “বহিরাগত ব্যক্তি” স্কুল ও চার্চের কাজে “প্রভাব বিস্তার ও দখল নেওয়ার চেষ্টা” করছে, অথচ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের স্কুলগুলির ওপর কোনও প্রশাসনিক অধিকারই নেই।

প্রিন্সিপাল স্পেন্সার জানান, ওই সংগঠনের কাজ মূলত ধর্মীয় পরামর্শ দেওয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে কিছু ব্যক্তি মিলিতভাবে “ষড়যন্ত্র” করে স্কুলের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাঁর কথায়, “ওরা আমাদের স্কুলগুলিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, অথচ তাদের সে ক্ষমতা নেই। সমাজে ভুল বার্তা ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, স্কুলটির সমস্ত প্রশাসনিক কার্যকলাপ একটি নিবন্ধিত সোসাইটি-এর অধীনে পরিচালিত হয়, যা একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকদের বেতন থেকে শুরু করে আর্থিক ব্যবস্থাপনা—সবকিছুই ওই সোসাইটির মাধ্যমে হয়। তাঁর দাবি, “AGNI (এজিএনআই) শুধুমাত্র ধর্মীয় পরামর্শ দিতে পারে, কিন্তু তারা এখন স্কুলের নিয়মিত পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।”
এই সোসাইটির অধীনে আসানসোল, রানিগঞ্জ, উখরা ও সোদপুরের মতো একাধিক স্কুল রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। প্রিন্সিপাল স্পেন্সার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “যদি স্কুলে অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, তাহলে সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হতে পারে।” তাই তিনি সমাজ ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান যাতে স্কুলের নিয়মিত কাজকর্মে কোনওরকম বাধা বা বিঘ্ন না ঘটানো হয়।
অন্যদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে AGNI-এর পক্ষ থেকেও শীঘ্রই সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের অবস্থান ও ব্যাখ্যা প্রকাশ করা হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে উভয় পক্ষই মন্ত্রী মলয় ঘটকের দারস্ত হয়েছে অর্থাৎ, একদিকে এজিএনআই (AGNI) এবং অন্যদিকে আসানসোল এজি চার্চ স্কুল প্রশাসন—দুই পক্ষের মধ্যে প্রশাসনিক টানাপোড়েন এখন চরমে উঠেছে।
অন্যদিকে, এজিএনআই (AGNI)-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা না যাওয়ায় তাঁদের মতামত পাওয়া যায়নি।






