বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
আসানসোল: অবৈধ বালির কারবার ও কোটি কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আসানসোলে ইডি (ED)-র ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের মুর্গাসোল এলাকায় ব্যবসায়ী মনীষ বাগারিয়া ওরফে মিঠু-র বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় ইডি-র একাধিক দল। সূত্রের খবর, মনীষ বাগারিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৪ লক্ষ টাকা নগদ।

জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে সরকারি টেন্ডারের নামে বালি কারবার চালাচ্ছিল মনীষ বাগারিয়া। অভিযোগ, সরকারি টেন্ডারের আড়ালে অবৈধভাবে বালির ব্যবসা করে বিপুল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন তিনি। তাঁর কাকা সিতারাম বাগারিয়াও একজন বালির কারবারি, এবং তাঁরা একই বাড়িতে থাকেন।

ইডি সূত্রে খবর, মনীষ বাগারিয়া শুধু আসানসোল নয়, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায়ও বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তাঁর একটি মটর পার্টসের দোকান ও অফিস রয়েছে আসানসোলের মুর্গাসোল বাজারে, যেখানে বৃহস্পতিবার ইডি তল্লাশি চালায়। পাশাপাশি, তাঁর নামে বিদ্যুৎ দপ্তরের সিমেন্ট পোল তৈরির একটি কারখানা আছে আসানসোলেই।
অভিযোগ, মনীষ বাগারিয়া জি এস টি ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন এবং সেই টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করেছেন। ইডি জানিয়েছে, গত ৮ই সেপ্টেম্বর রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশির সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে আসে, যার সূত্র ধরে এই নতুন অভিযান।
ইডি আরও জানতে পেরেছে, মনীষ বাগারিয়া অরুন সরাফ নামক এক বালির ব্যবসায়ীর চালান ব্যবহার করে ব্যবসা করতেন এবং সেই চালানে প্রায় ৫% জি এস টি ফাঁকি দিতেন। এতে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা তৈরি করে তা বৈধ রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে ঝাড়গ্রামে অরুন সরাফের অফিস ও বালির ঘাটেও ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে।
জানা গেছে, মনীষ বাগারিয়ার কলকাতা ও রাজস্থানে বাড়ি রয়েছে, তাঁর সন্তানরা রাজস্থানে পড়াশোনা করছে। কলকাতার অফিসেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইডি-র হানা চলছে।
ইডি সূত্রের দাবি, এই পুরো নেটওয়ার্কে একাধিক ব্যবসায়ী, সরকারি ঠিকাদার ও মধ্যস্থতাকারী যুক্ত থাকতে পারে। তদন্ত চলছে এবং আরও কিছু নাম সামনে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।








