বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
নিউজ প্রতিবেদন (বাংলার জাগরণ ডিজিটাল ডেস্ক):
আসানসোল এজি চার্চ স্কুলে ভর্তি দুর্নীতি নিয়ে চলা টানাপোড়েনের মধ্যে বড় পদক্ষেপ নিল পুলিশ। এজি চার্চ স্কুলের ভর্তি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইন্তেখাব আলম ওরফে লোটাসকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। লোটাস আসানসোল বস্তিন বাজারের এক ব্যবসায়ী, যার জুতোর দোকান রয়েছে। অভিযোগ, সে স্কুলে ভর্তি র্যাকেটের এক সক্রিয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল।

সূত্রের খবর, এসেম্বলিস অফ গড অফ নর্থ ইন্ডিয়া স্কুলের ভিসি রেভারেন্ড জর্জ কুট্টি – র নেতৃত্বে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৩ জুলাই এএসপি বিশ্বজিৎ নস্করের দপ্তর থেকে একটি চিঠি আসে, যাতে মনিকা নিধি ডিক্রুজ নামে এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। ওই অভিযোগপত্রে লোটাসকে ভর্তি র্যাকেটের প্রধান এজেন্ট বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগে স্কুল পরিচালনার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষকের নামও উঠে এসেছে। পরে জর্জ কুট্টি ভিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যার সদস্য ছিলেন জয়েস দেবদাস ও বিশ্বদেব চ্যাটার্জি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে, পাঁচজন ছাত্র ভর্তি হওয়ার জন্য লোটাসের হাতে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে দিয়েছিল। কমিটির মতে, শুধু লোটাস নয়, স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারীও এই দুর্নীতিতে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
তবে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সদস্য জয়েস দেবদাস প্রেস কনফারেন্স করে বলেন, “তদন্তের কাজ তখনও সম্পূর্ণ হয়নি। প্রক্রিয়া চলাকালীন অবস্থায় হঠাৎ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে—এর কারণ জানা নেই।” তিনি আরও জানান, “যদি কমিটির চেয়ারম্যানের কোনো সমস্যা থাকত, তা আগে কমিটির মধ্যেই আলোচনা হওয়া উচিত ছিল।”
জয়েস দেবদাস ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই সমস্ত ঘটনা তখনকার প্রিন্সিপালের আমলে ঘটেছিল। তবে, এখন যখন অভিযুক্ত লোটাস গ্রেফতার, তখন নতুন করে পুরো তদন্তে সাড়া পড়েছে।
ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস জানান, বিচারক লোটাসকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উত্তর থানার পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনার মূল চক্র ও সংযোগগুলি খতিয়ে দেখবে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, আসানসোল উত্তর থানার তদন্তকারী দল আসানসোল এজি চার্চ স্কুল ভর্তি কেলেঙ্কারির আরও কয়েকজন অভিযুক্তের সন্ধান চলছে। শিগগিরই আরও বড় নাম উঠে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে








