বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা উপনির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে চলেছে। প্রচার তুঙ্গে, অভিযোগ-প্রত্যাঘাত চলছেই। এদিকে, সিপিএমের ঝাড়খণ্ড শাখা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে তারা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-এর প্রার্থী সোমেশ সোরেনকে সমর্থন দেবে। রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ বিপ্লবের উপস্থিতিতে, সিপিএম নেত্রী বৃন্দা করাত বলেন, পূর্ব সিংভূমের সমস্ত কর্মী ও সমর্থকরা জেএমএম প্রার্থীকে জেতাতে মাঠে নামবেন।

এই আসনে জয়-পরাজয় রাজ্য সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রভাব ফেলবে না, তবে রাজনৈতিকভাবে এটি মর্যাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বর্তমানে ক্ষমতাসীন জেএমএমের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন দাবি করেছেন, “জয় অনিবার্য, এবার ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য।” অন্যদিকে, বিজেপি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চাম্পাই সোরেনের পুত্রকে প্রার্থী করেছে। দলের জন্য এটি শুধু একটি উপনির্বাচন নয়, বরং চাম্পাই সোরেনের প্রভাবকেও প্রমাণ করার সুযোগ।
এদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক জয়রাম মাহাতোর দল জেএলকেএম তৃতীয় বিকল্প হিসেবে উঠে আসার চেষ্টা করছে। মাহাতোর দাবি, “এই ভোটে জয়-পরাজয় সরকারের স্থিতির ওপর প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু যদি জনগণের সমর্থন পাই, তাহলে জেএলকেএম ঝাড়খণ্ড রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠবে।”
ঝাড়খণ্ডে উপনির্বাচনের অতীত ফলাফল
২০১৪ সালের পর রাজ্যে প্রথম উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে—গোমিয়া ও সিল্লি কেন্দ্রে। এই দুটি আসনেই জেএমএম প্রার্থীর স্ত্রীগণ, সীমা মাহাতো ও ববিতা মাহাতো, জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ছয়টি উপনির্বাচন হয়, যেখানে জেএমএম তিনটি, কংগ্রেস দুটি এবং আজসূ একটি আসনে জয় লাভ করেছিল।
দুমকা থেকে বসন্ত সোরেন, মধ্যপুর থেকে হাফিজুল আনসারি এবং ডুমরি থেকে জগন্নাথ মাহাতোর স্ত্রী বেবি দেবী জয়ী হন। কংগ্রেস মাণ্ডার ও বেরমো থেকে শিলপি নেহা তির্কি ও অনুপ সিং-কে জেতায়। আজসূ রামগড়ে মমতা দেবীর মাধ্যমে জয় নিশ্চিত করে।
কোইলহানে মর্যাদার যুদ্ধ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঘাটশিলা উপনির্বাচন কোইলহান অঞ্চলে কোন দল কতটা শক্তিশালী, সেই চিত্র স্পষ্ট করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সিপিএমের সমর্থন জেএমএমকে কতটা এগিয়ে দেয় এবং বিজেপি ও জেএলকেএম এই রণাঙ্গনে কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।







