বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
আসানসোলের রানীগঞ্জে ফের ভেজাল তেল কাণ্ডে চাঞ্চল্য। শুক্রবার গভীর রাতে রানীগঞ্জের গির্জা পাড়ায় অবস্থিত এক তেল মিলে অভিযানে নেমে ১০২ টিন ফরচুন কোম্পানির নামে ভেজাল ভোজ্য তেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল ফরচুনের মূল সংস্থা আদানি উইলমার গ্রুপের লিগ্যাল সেল ও রানীগঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে মিল মালিক পলাতক।

জানা গিয়েছে, ফরচুন (আদানি উইলমার গ্রুপ) সংস্থার লিগ্যাল সেল শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানীগঞ্জ থানার পুলিশের সহায়তায় গির্জা পাড়ার মোদী ওয়েল মিল নামে একটি কারখানায় হানা দেয়। সেখানে কোম্পানির ফরচুন ব্র্যান্ডের নামাঙ্কিত টিনে স্থানীয় তেল ভরে বাজারজাত করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
অভিযানের সময় মিলে বিপুল পরিমাণে তেল ভর্তি টিন উদ্ধার হয়। মোট ১০২ টিন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে অভিযানের আগেই মিল মালিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ফরচুন কোম্পানির লিগ্যাল সেলের আধিকারিকদের দাবি — “দুটি আলাদা ফরচুন ব্র্যান্ডের টিন ব্যবহার করে তার মধ্যেই ভেজাল তেল ভরে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। অনেকেই তা আসল ফরচুন তেল ভেবে ক্রয় করছিলেন। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও গ্রাহক প্রতারণার শামিল।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানীগঞ্জ থানা এলাকায় এর আগেও ভেজাল তেল সহ একাধিক কারবার ধরা পড়েছে, কিন্তু কয়েকদিন পরই আবার সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষ এখনো এই ধরনের নকল ও ক্ষতিকর তেল খেতে বাধ্য হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের দাবি পুলিশ ও প্রশাসন এই সব বিষয়ে নজর না দিলে আখেরে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই ঘটনার তদন্তে নামানো হয়েছে ফরেনসিক টিম। উদ্ধারকৃত তেলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্থানীয় পর্যায়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই কাজে জড়িত থাকতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে তেল মিল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
রানীগঞ্জের গির্জা পাড়ায় ধৃত এই ঘটনার পর ফের উঠে এসেছে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। প্রশাসনের কড়া নজরদারি না বাড়ালে সাধারণ মানুষকে নকল ও বিষাক্ত তেলের ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করছে স্থানীয়রা








