বৃন্দাবনের মতন হোলি উৎসব শুরু রানিগঞ্জ

লাল নীল গোলাপি হলুদ সহ বিভিন্ন গোলাপের পাপড়ি দিয়ে আর তার সাথেই রংবেরঙের লিলি ফুলের সমাহারে এবার ফুলের হোলিতে রাঙিয়ে দেওয়া হল রাধা কৃষ্ণ কে। বিগত বছরের ১৫ জুলাই তিন দিনের নানাবিধ কর্মসূচির পর শ্রীকৃষ্ণের পাশেই শ্রী রাধার মর্মর মূর্তি স্থান পেয়েছে, রানীগঞ্জের সীতা রামজি মন্দির প্রাঙ্গনে, আর তারপরে সীতারাম মন্দিরে একের পর এক ধার্মিক কর্মকাণ্ড যেন এই মন্দিরকে আরো আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে । আর তারপরই এবার এই সীতা রাম মন্দিরে সেই রাধা কৃষ্ণের মূর্তির চারিপাশে অসংখ্য গোপাল কৃষ্ণের মূর্তিকে সাজিয়ে, বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও পুষ্পের হলি খেলে আনন্দে মুখরিত হলো হাজারো ভক্ত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমগ্র বৃন্দাবন যেন উঠে এল খনি শহর রানীগঞ্জে। এদিন ভজন, কীর্তন গেয়ে হাজারো ভক্ত বৃন্দাবনের হলির সূচনার দিনেই, রানীগঞ্জের সীতারামজি মন্দিরে ফুলের হোলি খেলে, ফুল ছড়িয়ে ফুলে ঢেকে দিল গোপালকৃষ্ণকে। রঙিন ভেষজ আবিরে রাঙিয়েও দিল একে অপরকে। অসংখ্য ভক্ত তাদের গোপালকৃষ্ণকে নিয়ে আসে মন্দির চত্বরে যেখানে রাধা কৃষ্ণের সাথেই ছোট্ট গোপাল ফুলের হোলিতে রাঙ্গিয়ে যায়।

প্রায় ২০০ গোপাল কৃষ্ণ কে এদিন ভক্তরা মন্দিরে নিয়ে এসে এই ফুলের হোলি খেলে, নাচে গানে আনন্দে মেতে ওঠে। রাজস্থানী বাদ্যযন্ত্র ঢাপের তালে ভজন গায়কেরা ভজন পরিবেশন করার সাথেই যুব সদস্যরা সেই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে রাজস্থানী গানে মাতিয়ে তোলে সারা মন্দির। রাধা কৃষ্ণের ভজন কে অনুসরণ করে, সমস্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ সেই ভজন গাইতে গাইতেই ফুলের হোলিতে একে অপরকে রাগিয়ে দেয়। গায়ে রং লাগবে না তাই ফুল ছড়িয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে দিতে কোন আপত্তি নেই তাদের। তাই গোটা মন্দিরকে ও একে অপরকে তারা ফুলে ঢেকে দেয়। আর তার সাথেই সুগন্ধি ছড়িয়ে দেওয়া হয় ভক্তদের মধ্যে। সব মিলিয়ে মনে প্রানে একটা আলাদা অনুভূতি এনে দেওয়া এ যেন নতুন বৃন্দাবন উপহার পেয়েছে শহরবাসী এমনটাই দাবি করে সকলে। দাবি করে বৃন্দাবনের যাওয়ার আর লালসা রইলো না এখানেই যেন আস্ত বৃন্দাবন চলে এলো।

Related Posts

अचानक रुकी भोजन सेवा से बेहाल असहाय लोग — आसानसोल रेल डिवीजन ने बिना कारण बताए बंद कराया कार्यक्रम

बंगलार जागरण डॉट कॉम संवाददाता शहर के 13 नंबर मोड़ स्थित पुराने रेलवे फायर ब्रिगेड दफ्तर में वर्षों से एक सामाजिक संस्था द्वारा प्रतिदिन दोपहर में सैकड़ों गरीब, बेसहारा और…

Read more

এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে জোরকদমে প্রচার—হাউজিং কমপ্লেক্স থেকে গ্রামাঞ্চলে ছুটে বেড়াচ্ছে প্রশাসন

বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা এনুমারেশন ফর্ম কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে—তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে এখন জেলা শাসক থেকে আসানসোল মহকুমা প্রশাসন সকলেই গণজাগরণে নেমেছে। শহরের বড় বড় হাউজিং কমপ্লেক্স,…

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *