
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
আসানসোল পৌরনিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের লোয়ার কুমারপুর এলাকায় সরকারি খাস জমি দখল এবং একটি বিশাল পুকুর ভরাট করে পাঁচিল দিয়ে ঘেরার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল পৌরনিগম এবং আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দখল করা জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলেও প্রাথমিকভাবে বাধার মুখে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা হীরু মন্ডলের অভিযোগ, লোয়ার কুমারপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি পুকুর ছিল, যা এলাকার মানুষ ধর্মীয় ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতেন। কিন্তু কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পুকুরটি মাটি দিয়ে ভরাট করে এবং সরকারি জমির একটি বড় অংশ পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দখল করেছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আসানসোল পৌরনিগমে লিখিত অভিযোগ জানান। পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে আসানসোল দক্ষিণ থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করে।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌরনিগমের সাফাই কর্মীরা দখলকৃত জমিতে সাফ সাফাইয়ের কাজ শুরু করতে গেলে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের হুমকি দিয়ে কাজে বাধা দেয়। অভিযোগ, এই ব্যক্তিরা পৌরনিগমের কর্মীদের তাড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পৌরনিগমের হেড কোয়ার্টারের আধিকারিক কেদারনাথ মন্ডল কর্মীদের নিয়ে এবং স্থানীয় বোরো অফিসের ইঞ্জিনিয়ার কপিল মুখোপাধ্যায়কে ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশের উপস্থিতিতে পৌরনিগম পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দা গোবর্ধন মণ্ডল বলেন, “এই পুকুরটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই পুকুরের জল ব্যবহার করা হত। কিন্তু কিছু লোক হুমকি দিয়ে পুকুরটি ভরাট করে সরকারি জমি দখল করেছে। পৌরনিগমের এই পদক্ষেপ আমরা স্বাগত জানাই।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসানসোল পৌরনিগমের আধিকারিক কপিল মুখোপাধ্যায় জানান, “আমরা স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং আইনি প্রক্রিয়া মেনে অভিযান চালাচ্ছি। সরকারি জমি দখল এবং পুকুর ভরাটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, এলাকাবাসী পৌরনিগমের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পুকুরটি পুনরুদ্ধার করে তার পূর্বের রূপ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।