বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
ভারতীয় রেলওয়ের উদ্যোগ অপারেশন এএএইচটি (অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হিউম্যান ট্রাফিকিং)-এর মাধ্যমে মানব পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান রেল পুলিশের তথা আর পিএফের।

ফটো সৌজন্য রেল
আরপিএফ আসানসোল ডিভিশন গোপন সূত্র থেকে খবর পায় এই ধরনের অপরাধের, পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১১ জন নাবালক ছেলেকে উদ্ধার করেছে, যার ফলে মানব পাচারের একটি ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। আরপিএফ ওয়েস্ট পোস্ট আসানসোল এবং জিআরপি আসানসোলের একটি বিশেষ দল তাম্বরম সাপ্তাহিক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (জসিডিহ থেকে তাম্বরম, ১২৩৭৬)-এর সাধারণ কামরায় অভিযান চালায়। ট্রেনটি আসানসোল জংশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর দাঁড়িয়ে থাকে।
সেই সময় অভিযান চালায় দলটি, সন্দেহজনক ভাবে বসে থাকা ১১ জন ছেলেকে শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ছেলেরা তাদের নাম ও ঠিকানা জানায়, যা ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিল। তারা জানায়, পাঁচজন ব্যক্তি তাদের চেন্নাইয়ে লোভনীয় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলোভন দেখিয়েছিল এবং তাদের দুর্বল আর্থ-সামাজিক পটভূমির সুযোগ নিয়েছিল।
অভিযুক্ত পাঁচজনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং ছেলেরা তাদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে তারা ছেলেদের অভিভাবকদের আর্থিক দুর্দশার সুযোগ নিয়ে তাদের শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর জন্য রাজি করিয়েছিল। অভিযুক্তদের পরিচয় নিম্নরূপ:
দীপক কুমার দাস (১৮) – গিরিডিহ, ঝাড়খণ্ড
বিশ্বনাথ দোলুই (২৫) – বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
উমেশ পাহাড়িয়া (২৪) – দেওঘর, ঝাড়খণ্ড
রাজেশ মাঝি (২৯) – জামুই, বিহার
রাধে মাঝি (২৪) – জামুই, বিহার
পাঁচজন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), কিশোর ন্যায় (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৫, এবং শিশু শ্রম (নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৮৬-এর প্রাসঙ্গিক ধারায় জিআরপিএস আসানসোলে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসানসোল আদালতে ৫ অভিযুক্তকে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া নাবালকদের কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের জন্য রেলওয়ে চাইল্ড হেল্প ডেস্ক আসানসোল-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।