
বাংলার জাগরণ ডট কম সংবাদদাতা
পণপ্রথার বলি হলেন দুর্গাপুর শিল্পনগরীর গোপালমাঠের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী গৃহবধূ মেঘা দাস। শনিবার মেঘার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মেঘার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর উপর লাগাতার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনায় মেঘার স্বামী বিধান চন্দ্র দাস ও শাশুড়ি অঞ্জলি দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মৃত মেঘার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে বিধানের সঙ্গে মেঘার বিয়ে হয়। সেই সময় পণ হিসেবে ১ লক্ষ টাকা নগদ এবং চার ভরি সোনার গয়না সহ অন্যান্য গৃহস্থলীর জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের দেড় বছর পর আরও এক লক্ষ টাকা দাবি করে মেঘার শ্বশুরবাড়ি। সেই দাবিও পূরণ করা হয়। কিন্তু এরপরও মেঘার উপর অত্যাচার থামেনি বলে অভিযোগ।
শনিবার মেঘার মৃত্যুর খবর পৌঁছালে বাঁকুড়া থেকে ছুটে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা মেঘাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ পদক্ষেপ নেয় এবং মেঘার স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেঘার দেহ রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।